নিজস্ব প্রতিনিধি :
আইন মানেন না সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার পুলিশের সার্কেল এসপি হুমায়ুন কবির । কথায় কথায় সাধারন মানুষকে বেদম লাঠি পেটা করে নিজের ক্ষমতা জাহির করছেন। তার হাত থেকে রেহায় পাচ্ছে না গনমাধ্যম কর্মীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে বাইরে আসা অসহায় খেঁটে খাওয়া মানুষ। লগডাউনের শুরু থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এ সহকারী পুলিশ কর্মকর্তা। পাটকেলঘাটা থানার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে নিন্ম আয়ের মানুষের উপর লাঠি পেটা অভ্যাহত রেকেছেন। ইতিমধ্যে একজন ইটভাটা ম্যানেজারকে পিটিয়ে তার ডান হাত ভেঙ্গে দিয়েছেন। তিনি বয়োঃবৃদ্ধ হওয়ায় তীব্র যন্ত্রনায় বিছানায় কাতর। অনুসন্ধান ও ভূক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং প্রত্যক্ষর্শীদের ভাষ্যমতে আজ শনিবার (দুপুর ৩টার দিকে পাটকেলঘাটার স্থানতরিত শবজির বাজার পাটকেলঘাটার বলখেলার মাঠে হামলা চালাতে শুরু করে। এসময় বাজারে হরেক রকম শাঁক-শবজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচাবাজারে নিজেই পা দিয়ে লাথি মেরে বিভিন্ন জাতের শবজি ঝুঁড়ি থেকে ফেলে দেয়। এ সময় উক্ত বাজারে কয়েকজন গনমাধ্যমকর্মী বাজার করছিল। ঘটনাস্থলের পাশেই মফিজুল ইসলামের মুরগীর দোকান থেকে মুরগী ক্রয় করছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনি। এ সংবাদ পুলিশ জানতে পেরে অতিউৎসাহি হয়ে কোন প্রকার কথা ছাড়াই হাতে থাকা ফোনটি ছিনিয়ে নেন। শুধু তাই নয় পেশাগত কাজে নিয়োজিত থাকা কালিন সাপ্তাহিক জনতার মিছিল পত্রিকার বার্তা সম্পাদকদের ব্যবহারিত মোটর সাইকেলটির দুইটি চাকা ভোমর দিয়ে ছিদ্র করে দেয়। শুধু ছিদ্র করেই খান্ত হননি, তার মোটরসাইকেল টি জব্দ করে এবং তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় স্থানীয় অন্য গনমাধ্যমকর্মীরা এগিয়ে আসলে সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ন কবির সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন “আমিকে জানেন” এমন দম্ভক্তি ছুড়ে দিয়ে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করেন। মোবাইল নেওয়ার বিষয়টি তাৎক্ষনাৎ সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানকে জানানো হয়। ঘটনার ১৫ মিনিট পূর্বে এ্যসিল্যান্ড অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাবেব সভাপতি শেখ জহুরুল হক ও দৈনিক কালের চিত্র প্রত্রিকার সাংবাদিক শাহিন বিশ্বাসের পরিচয় পেয়েও তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল লোহার ভোমর ফুঁটিয়ে মোটর সাইকেলটি অকেজো করে দেওয়া হয়। এঘটনার পূর্বে দুপুর অনুমান ২টা ৩০ ঘটিকার দিকে পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা
কদমতলা বাজারে একই স্টাইলে সাধারন মানুষের উপর লাঠি পেটা করেন। এসময় জরুরি ঔষধ কিনতে আসা অভয়তলা গ্রামের ঈদ্রিসকে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে চাকায় ভোমর ফুটানোসহ মারপিট করা হয়। একই সময় ডুমুরিয়া থেকে জরুরী কৃষিবীজ সরবরাহ করে খালি মাহিন্দ্রা নিয়ে ফেরার পথে ঘটনাস্থলে তৈইলকুপি গ্রামের মাহবুবের গতিরোধ করে থ্রি হুইলারের সব চাকায় ভোমর ফুটিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্থ্য মাহবুব জানায় পরিবহনের সামনে জরুরী বীজ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত ব্যানার থাকলেও শেষ রক্ষা হয়নি। এসময় কমপক্ষে আরও অনন্ত পা চালিত ভ্যানসহ ১০ থেকে ১৫টি যানবাহনের চাকার একাধিকস্থানে ভোমর ফুঁটিয়ে অকেজো করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পূর্বে প্রথম দফার লকডাউনে কুমিরা এম এন বি ব্রিকস্ এর ম্যানেজার গিয়াসউদ্দিন(৫৫) রাত পনে ৮টার দিকে তার গ্রামের বাড়ী জুসখোলার ফেরার পথে
পাটকেলঘাটা ওভারব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছাতেই তার উপর লাঠি চার্জ শুরু করে। এসময় হাত দিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে গেলে তার শরীরের ডান হাত ভেঙ্গে যায়।
এসময় তার সাথে থাকা ফুটবল খেলোয়ার আসাদকেও পিটিয়ে আহত করে। এছাড়াও উদ্যাত সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে সাধারন মানুষের উপর নানাবিধ
নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়াগেছে। এদের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ্য কলাপোতা গ্রামের কদমতলা এলাকার চা দোকানি লিটন জানান ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার ১৪ তারিখ থেকে বন্ধ চায়ের দোকানের চুলা ভাংচুর করে মূল্যবান যন্ত্রপাতি তুলি নিয়ে গেছে। চা দোকানদার লিটন আক্ষেপ করে বলেন, বন্ধকৃত চায়ের দোকান ভাংচুর করে মালামাল নিয়ে গেলেও পাশ্বের চলমান চায়ের দোকানে কেন অভিযান হয়নি। এ ঘটনায় তিনি বিচার চেয়ে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এমন ঘটনা পাটকেলঘাটা বাজারের চা দোকানি আব্দুল হাকিম ও শেখ অজিয়ার রহমানের দোকানে হামলা করে বেধড়ক মারপিট করা সহ চায়ের কেটলি নিয়ে যাওয়ারও অবিযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে ভূক্তভোগীরা পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের এহেন কর্মকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।