হোম খেলাধুলা অস্ট্রেলিয়া নতুন গতি তারকা পেয়ে গেছে?

অস্ট্রেলিয়া নতুন গতি তারকা পেয়ে গেছে?

কর্তৃক
০ মন্তব্য 99 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক। যেকোনো সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের ভরসা। টেস্ট ক্রিকেট হলে সেখানে জশ হ্যাজলউডের নামটাও যোগ হয়। ব্যস, এটুকুই। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের মনে ভয় জাগানোর মতো আর কোনো পেসার ইদানিং দেখাতে পারছে না অস্ট্রেলিয়া। রাইলি মেরেডিথকে দলে ডেকে সে আক্ষেপ দূর করতে চাইছে অস্ট্রেলিয়া।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সম্ভাব্য সিরিজের জন্য প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছেন তাসমানিয়ার এই ফাস্ট বোলার। ২৪ বছর বয়সী এই পেসার এই প্রথম ডাক পেলেও তাঁর গুণমুগ্ধের তালিকায় আছেন অনেক রথি-মহারথী। শেন ওয়ার্ন তো বেশ আগ থেকেই তাঁকে চাইছেন দলে। এক সময় গতি দিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা ব্রেট লি ও মিচেল জনসনও মেরেডিথকে অস্ট্রেলিয়া দলে দেখতে চান।

ব্রেট লি ও জনসন তা চাইতেই পারেন। শন টেইট ও এ দুজনের পর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে গতির ঝড় তোলার দায়িত্ব নিয়েছেন স্টার্ক ও কামিন্স। কিন্তু চোট থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য কামিন্সও গতি কমিয়ে ফেলেছেন। তাঁকে ইদানিং ১৪০ কিলোমিটার পার করতে খুব কমই দেখা যায়। স্টার্কই সবেধন নীলমনি। মাঝে কিছুদিন বিলি স্টেনলেককে দিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সাড়ে ৬ ফুটের বেশি উচ্চতার স্টেনলেককে দিয়ে সাফল্য পায়নি তারা। ঝাই রিচার্ডসন অমিত প্রতিভা নিয়ে হাজির হলেও বিশ্বকাপের আগে চোট পেয়ে ফর্ম হারিয়েছেন। তাই মেরেডিথকেই নতুন ভরসা মানছে অস্ট্রেলিয়া।

গতি ভালোই আছে মেরেডিথের। ঘন্টায় ১৫২ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারেন। সে সঙ্গে বল তুলতে পারেন এবং দেরিতে সুইংও পান। গুড লেংথে পড়া তাঁর এক বলের গতি ও লেট সুইংয়ে বিভ্রান্ত হয়ে মার্কাস স্টয়নিসের মাথায় আঘাত পাওয়ার ভিডিও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ফলাও করে প্রচার করেছে। গত মৌসুমে চারদিনের মধ্যে স্টিভ স্মিথকে দুবার ও ডেভিড ওয়ার্নারকে একবার আউট করার পর ওয়ার্নার তো তখনই মেরেডিথকে জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বাউন্সারে প্রতিপক্ষকে ঘাবড়ে দেওয়ার ইচ্ছার কথা লুকাতে চান না এই ফাস্ট বোলার, ‘যখনই কেউ বাউন্ডারি মারে আমি এটা করি। মাঝে মাঝেই আমার আগ্রাসন বেড়িয়ে পড়ে, তবে অন্যদের মতো অত বাজেভাবে না। আমি চেষ্টা করি নিজেকে শান্ত রাখতে। খেলার মাঝে স্বাভাবিকভাবেই আগ্রাসন চলে আসে। আমি শুধু চেষ্টা করি নিজেকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে।’

গতি আর বাউন্সে সতীর্থেরই সর্বনাশ করার রেকর্ড আছে মেরেডিথের। অনুশীলনে জর্ডান স্লিকের কবজি ভেঙে দেওয়ায় একমাস বাইরে ছিলেন স্লিক। এজন্য দুঃখিত হলেও মাঠে ও অনুশীলনে শত ভাগ দেওয়া থেকে নিজেকে আটকাতে চান না এই ফাস্ট বোলার।

দেখা যাক চূড়ান্ত দলে জায়গা করে নিতে পারেন কি না মেরেডিথ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন